A little boat ride in the Sundarbans.

in Travel •  last month • 4 min read

হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সকলে ভালো আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে ভ্রমণ বিষয়ক কিছু পোস্ট করব। সুন্দরবন সম্পর্কে।

IMG_20250213_143512_5.jpg

সুন্দরবনে পাই দিয়ে চলেছে একটি নদী। এখানে একটি বড় নৌকা দেখেছিলাম। একটি কুমির ও লিখেছিলাম।নৌকা দিয়ে খুব ঘুরাঘুরি করলাম অনেক মজা করলাম।
সুন্দরবনে নৌকা ভ্রমণ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যেখানে নদী, খাল এবং খাঁড়ির জালে বিস্তৃত জলপথ রয়েছে। সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের নৌকা ব্যবহার করা হয়, যা নির্ভর করে পর্যটকদের চাহিদা, গন্তব্য এবং সুবিধার উপর।

নৌকার নৌকা দিয়ে সাধারণত যা হয়।

IMG_20250213_130809_617.jpg

সাধারণত বড় দল বা পর্যটন গ্রুপের জন্য ব্যবহৃত হয়।এতে থাকার ব্যবস্থা, রান্নার সুবিধা এবং গাইড থাকেন।সুন্দরবনের গভীরে ভ্রমণের জন্য বেশ ভালো।ছোট পর্যটক দল বা ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য আদর্শ।ছোট নদী ও খাঁড়িগুলো সহজেই ঘুরে দেখা যায়।সাধারণত স্থানীয় জেলেরা ব্যবহার করেন, তবে পর্যটকরাও এটি ব্যবহার করতে পারেন।কোনো ইঞ্জিন নেই, শুধু দাঁড় টানা হয়।পাখি দেখা ও নিরিবিলি বনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য উপযুক্ত।রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, কুমির, বন্য শূকর, নানা প্রজাতির পাখি ও ডলফিন দেখার সুযোগ।
নদী ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের অপূর্ব দৃশ্য।

কচিখালী, কটকা, হারবাড়িয়া, দুবলার চরের মতো দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন।

জেলেদের সাথে মাছ ধরা ও স্থানীয় সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা নেওয়া।

অভিজ্ঞ গাইড ও অনুমোদিত নৌকা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট পরিধান করা উচিত।

সরকারী অনুমতি ও প্রবেশ ফি পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক।

বন্য প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা প্রয়োজন।

আপনি যদি সুন্দরবনে নৌকা ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে নির্দিষ্ট মৌসুম (সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ) বেছে নেওয়া ভালো, কারণ এ সময়ে আবহাওয়া আরামদায়ক থাকে।

সুন্দরবনের নৌকা ভ্রমণ: প্রকৃতির কোলে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা

IMG_20250213_125127_283.jpg

সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিস্তৃত। এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল, অসংখ্য নদী-খাল-বিল এবং বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত। সুন্দরবনের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নৌকা ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। নৌকার সলজ্জ গতিতে প্রবাহিত নদী পথে বনের গহীন গভীরে প্রবেশ করা, সবুজে ঘেরা নিস্তব্ধ জগতের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা—এসবই এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়।

এই লেখায় আমরা সুন্দরবনের নৌকা ভ্রমণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবো, যার মধ্যে থাকবে ভ্রমণের প্রস্তুতি, প্রধান দর্শনীয় স্থান, অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং কিছু দরকারি টিপস।

সুন্দরবনে নৌকা ভ্রমণের জন্য আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য অনুমতি নিতে হয়, যা বাংলাদেশ বন বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া, সঠিক সময় নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) নৌকা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়, কারণ তখন বনের পরিবেশ মনোরম থাকে এবং বন্যপ্রাণী দেখা যায় বেশি।

সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য সাধারণত খুলনা, মংলা, শ্যামনগর বা বাগেরহাট থেকে নৌকা ভাড়া নিতে হয়। ঢাকা থেকে খুলনা বা বাগেরহাট বাস বা ট্রেনে যাওয়া যায়, তারপর সেখান থেকে নৌকাযোগে সুন্দরবনের দিকে রওনা হতে হয়।

IMG_20250213_110602_873.jpg

সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ধরনের নৌকা পাওয়া যায়:
দুই থেকে চারজনের জন্য উপযুক্ত, স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।
একটু বড় এবং আরামদায়ক, একদিন বা একাধিক দিনের জন্য ভালো বিকল্প।বড় দল বা পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প, যেখানে থাকার সুবিধাও থাকে।

সুন্দরবনের নৌকা ভ্রমণের জন্য নিচের জিনিসগুলো সঙ্গে নেওয়া ভালো:

পর্যাপ্ত পানি ও শুকনো খাবার

ক্যামেরা ও বাইনোকুলার

প্রয়োজনীয় ওষুধ

বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য রেইনকোট বা ছাতা

গাইডবুক ও মানচিত্র

টর্চলাইট ও অতিরিক্ত ব্যাটারি

সাপ ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

সুন্দরবনের নানা আকর্ষণীয় জায়গা নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে উপভোগ করা যায়। এই স্থানগুলোর প্রতিটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।

খুলনার মংলা থেকে নৌকায় মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টায় হারবাড়িয়ায় পৌঁছানো যায়। এটি একটি চমৎকার পর্যটনকেন্দ্র যেখানে সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল খুব কাছ থেকে দেখা যায়। কাঠের তৈরি চলাচলের পথ দিয়ে বনের ভেতরে হাঁটার সুযোগও আছে

এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান যেখানে কুমির প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে। এখানে বানর, হরিণ এবং নানা ধরনের পাখি দেখা যায়। করমজলে যেতে মংলা থেকে নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করা যায়।

দুবলার চর সুন্দরবনের অন্যতম সুন্দর স্থান, যা শুঁটকি মহাল হিসেবেও পরিচিত। প্রতি বছর এখানে রাসমেলা হয়, যা পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ। নভেম্বর মাসে পূর্ণিমার রাতে রাসমেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং তখন প্রচুর ভ্রমণকারী এখানে আসেন।

কটকা সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এবং এখানে হরিণের পাল দেখা যায়। কচিখালী উপকূলীয় বনের অংশ, যেখানে বাঘ, হরিণ, কুমির ও বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখা যায়।

IMG_20250213_122917_307.jpg

এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর জন্য বিখ্যাত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এখানে অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।

নৌকা যখন মৃদু ঢেউ কেটে কেটে এগিয়ে যায়, তখন প্রকৃতির এক আশ্চর্য সুর বেজে ওঠে। সকালবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন নদী পথে হাঁটাহাঁটি করার অভিজ্ঞতা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। বনের ভেতর নৌকা চলার সময় হরিণের পাল, বানরের দৌড়ঝাঁপ বা বুনো শূকরের দেখা মিলতে পারে।

রাতের বেলা নৌকার ডেকে বসে তারাভরা আকাশ দেখতে দেখতে নদীর স্রোতের শব্দ শুনতে শুনতে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। মাঝেমধ্যে দূর থেকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!